মার্লিন এ্যাডামসনের লেখা
আপনি কি কখনও এমন কারও সাথে পরিচিত হয়েছেন যে সত্যিকারভাবেই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে? যখন আমি একজন নাস্তিক ছিলাম, আমার একজন মেয়ে বন্ধু ছিল যে প্রায়সময়ই প্রার্থনা করত। সে আমাকে বলত যে প্রতি সপ্তাহেই সে কিছু না কিছুর বিষয়ের সমাধান করার জন্য ঈশ্বরের প্রতি নির্ভরশীল হওয়ার কথা বলত। আর প্রতি সপ্তাহেই আমি দেখতাম ঈশ্বর অদ্ভুতভাবে তাঁর প্রার্থনার উত্তর দিতেন।
আপনি কি জানেন একজন নাস্তিকের পক্ষে এই সপ্তাহের পরের সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করাটা কতটা কঠিন কাজ? কিছু সময় পর, ‘‘সমাপতন’’ খুবই দুর্বল যুক্তি হিসেবে মনে হতে লাগল।
তাহলে কেন ঈশ্বরর আমার বন্ধুর প্রার্থনার উত্তর দিচ্ছিলেন। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল তার ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক ছিল। সে ঈশ্বরকে অনুসরণ করতে চাইতো। আর সে সত্যিকারভাবেই তাঁর কথা মেনে চলত। তার চিন্তায়, ঈশ্বরের পরিচালন করার অধিকার ছিল, এবং সে তাঁকে এজন্য সাদরে গ্রহণ করে! যখন সে ভাল কিছুর জন্য প্রার্থনা করত. এটা ছিল তার ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক হওয়ার স্বাভাবিক একটি অংশ। ঈশ্বরের কাছে তার সকল প্রয়োজন, উদ্বেগসমূহ, এবং তার বর্তমান জীবনে যা ঘটছিল সবকিছু নিয়ে ঈশ্বরের সান্নিধ্যে আসতে সে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত। অধিকন্তু, সে বাইবেলে যা পড়েছিল সেটা দ্বারা সে প্রভাবিত হয়েছিল যে ঈশ্বর তাঁর নিজের ওপর সেই মেয়েটির এই নির্ভারতা চান।
সে বাইবেলের এই বিবৃতিটির অংশের প্রকাশ ঘটিয়েছে যে, ‘‘ঈশ্বরের উপর আমাদের এই নিশ্চয়তা আছে যে, তাঁর ইচ্ছামত যদি আমরা কিছু চাই তবে তিনি আমাদের কথা শোনেন।’’১ ‘‘যারা ন্যায়ের পথে চলে তাদের উপর প্রভুর চোখ আছে, তাদের প্রার্থনা শুনবার জন্য তাঁর কান খোলাই রয়েছে;...’’২
এটা হতে পারে যে তাদের সাথে ঈশ্বরের সম্পর্ক নেই। তারা হয়ত এটা জানতে পারে যে ঈশ্বর আছেন, এবং এমনকি তারা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ঈশ্বরের আরাধনাও করে। কিন্তু যাদের প্রার্থনার কোন উত্তর আসে না, ঈশ্বরের সাথে তাদের সম্পর্ক নেই। উপরন্তু, তারা কখনই ঈশ্বরের কাছ থেকে তাদের পাপের সম্পূর্ণ ক্ষমা পায় নি। আপনি যেটা জিজ্ঞেস করলেন সেটার সাথে পাপের কী সম্পর্ক? এখানে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হল। ‘‘দেখ, সদাপ্রভুর হাত এত খাটো নয় যে, তিনি উদ্ধার করতে পারেন না; তাঁর কানও এত ভারী নয় যে, তিনি শুনতে পান না।কিন্তু তোমাদের অন্যায় সদাপ্রভুর কাছ থেকে তোমাদের আলাদা করে দিয়েছে। তোমাদের পাপের দরুন তিনি তাঁর মুখ তোমাদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছেন; সেইজন্য তিনি শোনেন না।’’৩
ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরত্বের বিষয়টি অনুভব করাটা বেশ স্বাভাবিক। যখন মানুষ ঈশ্বরের কাছ থেকে কোন কিছু চাওয়া শুরু করে, তখন এখানে কোন বিষয়টি জায়গা দখল করে? তারা এটা বলে শুরু করে যে,‘‘ঈশ্বর, আমার এই সমস্যার সমাধানের জন্য সত্যিকারভাবেই তোমার সাহায্য প্রয়োজন...’’ আর তারপেরই সেখানে থামা হয়, তা আবার পুনরায় শুরু হয়...‘‘আমি জানি যে আমি নিখুঁত ব্যক্তি নই, যার তোমার কাছে সাহায্য চাইবার কোন অধিকার নেই...’’ এখানে ব্যক্তিগত পাপ এবং ব্যর্থতার উপলব্ধি প্রকাশ পাচ্ছে। আর সেই ব্যক্তি জানে যে এটা শুধু তারাই নয়, এটা ঈশ্বরও জানেন। এমন একটি অনুভূতি আছে যে,‘‘আমি কার সাথে মজা করছি?’’ তারা হয়ত এটা না জেনে থাকতে পারে যে কীভাবে তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে তাদের পাপের সম্পূর্ণ ক্ষমা পেতে পারে। তারা হয়ত এটা না জেনে থাকতে পারে যে তারা ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে যার মাধ্যমে ঈশ্বর তাদের কথা শুনবেন। এটাই হল আপনার প্রার্থনার উপর ঈশ্বরের সাড়াদানের ভিত্তি।
প্রথমে আপনাকে অবশ্যই ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক শুরু করতে হবে। এর কারণ এখানে দেওয়া হল। ধরুন, মাইক নামের একজন লোক প্রিনসেন্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতিকে তার জন্য কিস্তিতে গাড়ি কেনার অংশীদারিত্বের জন্য স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করেছে। যদি মাইক ব্যক্তিগতাভাবে সেই সভাপতির সাথে পরিচয় না থাকে তাহলে সেই গাড়ি কেনার জন্য কিস্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ হবে না। কিন্তু, যদি এই সভাপতির মেয়ে যদি তার বাবকে কিস্তিতে গাড়ি কেনার অংশীদারিত্বের জন্য স্বাক্ষর করতে অনুরোধ করে তাহলে এতে কোন সমস্যাই হবে না। সম্পর্ক আসলেই গুরুত্বপূর্ণ।
ঈশ্বরের সাথে, যখন একজন ব্যক্তি সত্যিকারভাবে ঈশ্বরের সন্তান, যেখানে সেই ব্যক্তি ঈশ্বরের, তিনি তাদের সকলকে জানেন এবং তাদের প্রার্থনা শোনেন। যীশু বলেছেন,‘‘ আমিই উত্তম মেষপালক। পিতা যেমন আমাকে জানেন এবং আমি পিতাকে জানি তেমনি করে আমিও আমার মেষগুলোকে জানি এবং তারাও আমাকে জানে। আমার মেষগুলো আমার ডাক শোনে। আমি তাদের জানি আর তারা আমার পিছনে পিছনে চলে।আমি তাদের অনন্ত জীবন দিই। তারা কখনও বিনষ্ট হবে না এবং কেউই আমার হাত থেকে তাদের কেড়ে নেবে না।’’4
ঈশ্বরের ক্ষেত্রে, আপনি কি তাঁকে সত্যিকারভাবেই জানেন? আপনার কি তাঁর সাথে এমন সম্পর্ক আছে যেটা ঈশ্বরের কাছ থেকে আপনার প্রার্থনার উত্তর পেতে নিশ্চিত করে? অথবা, ঈশ্বর কি অনেক দূরে, আপনার জীবনে তিনি কি কেবল একটি ধারণামাত্র? যদি ঈশ্বর দূরে থাকেন, তাহলে এভাবে আপনি ঈশ্বরের সাথে এখনই সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন: সম্পর্ক স্থাপন।
যারা তাঁকে জানে এবং তাঁর উপর নির্ভর করে তাদের ক্ষেত্রে, যীশু তাঁর এই প্রস্তাবটিতে বৃহৎভাবে উদারতা দেখিয়েছের যে: ‘‘যদি তোমরা আমার মধ্যে থাক আর আমার কথাগুলো তোমাদের অন্তরে থাকে তবে তোমাদের যা ইচ্ছা তা-ই চেয়ো; তোমাদের জন্য তা করা হবে।’’৫ তাঁর ‘‘মধ্যে’’ থাকা এবং তাঁর কথাগুলো আমাদের অন্তরে রাখার অর্থ হচ্ছে তা্রা তাদের জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর সম্বন্ধে ভালভাবে জানবে, তাঁর উপর নির্ভর করবে, তিনি কী বলেন তা শুনবে। তাহলেই তাদের যা ইচ্ছা সেটাই তাঁর কাছে চাইতে পারে। ঈশ্বরের উপর আমাদের এই নিশ্চয়তা আছে যে, তাঁর ইচ্ছামত যদি আমরা কিছু চাই তবে তিনি আমাদের কথা শোনেন। এই বিষয়ে আরেকটি প্রাসঙ্গিক পদ হল ‘‘যদি আমরা জানি, আমরা যা কিছু চাই তা তিনি শোনেন তবে এও জানি যে, আমরা তাঁর কাছ থেকে যা চেয়েছি তা আমাদের পাওয়া হয়ে গেছে।’’৬ ঈশ্বর তাঁর ইচ্ছামত আমাদের প্রার্থনার উত্তর দেন (এবং তাঁর প্রজ্ঞা, আমাদের প্রতি তাঁর ভালবাসা, তাঁর পবিত্রতা ইত্যাদির অনুসারে আমাদের প্রার্থনার উত্তর দেন।)
আমরা যেখানেই যাই না কেন তা আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা হিসেবে ধরে নেই কারণ নির্দিষ্ট কোন বিষয় আমাদেরকে উপলব্ধি করাতে সাহায্য করে! আমরা ধরে নেই যে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি প্রার্থনার একটাই সঠিক ‘‘উত্তর’’ রয়েছে, অনুমান করে নেই যে হয়ত এটাই ঈশ্বরের ইচ্ছা। আর এখানেই বিষয়টা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমরা সময়ের এবং জ্ঞানের নির্দিষ্টতায় আছি। কোন পরিস্থিতি এবং সেই পরিস্থিতির ভবিষ্যতের প্রভাব সম্বন্ধে আমাদের খুবই সীমিত তথ্য থাকে। ঈশ্বরের মেধা অসীম। কীভাবে জীবন বা ইতিহাসের একটি ঘটনা শুধুমাত্র তাঁর জানার মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হয়। আর তিনি যে উদ্দেশ্য পরিকল্পনা করেন সেটা আমাদের কল্পনারও বাইরে। তাই, যা আমরা তাঁর ইচ্ছা হিসেবেই ধরে নিই সেজন্য ঈশ্বর কখনই কোন কিছু করবেন না।
আমাদের প্রতি ঈশ্বরের পরিকল্পনা লিখতে গেলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শেষ হয়ে যাবে। সম্পূর্ণ বাইবেল হল ঈশ্বর তাঁর সাথে আমাদের কেমন সম্পর্ক চান এবং তিনি আমাদের কেমন জীবন দিতে চান সেটার বিষয়ে বর্ণনা করে। এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
‘‘...তোমাদের মমতা করবার জন্য তিনি প্রস্তুত হয়ে আছেন। সদাপ্রভু ন্যায়বিচারের ঈশ্বর; যারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করে তারা ধন্য।’’৭ আপনি এটা বুঝতে পেরেছেন? এটা এমন যে কেউ একজন তাঁর চেয়ার থেকে আপনাকে সাহায্য করার জন্য এসেছেন,‘‘তিনি আপনাকে মমতা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন।’’ ‘‘ঈশ্বরের পথে কোন খুঁত নেই; সদাপ্রভুর বাক্য খাঁটি বলে প্রমাণিত হয়েছে।’’৮ ‘‘কিন্তু যারা তাঁকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করে আর তাঁর অটল ভালবাসার উপর আশা রাখে, তাদের নিয়েই সদাপ্রভুর যত আনন্দ।’’৯
তবে, আপনার প্রতি ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ ভালবাসা এবং প্রতিজ্ঞার প্রদর্শন হল: যীশু বলেছেন, ‘‘কেউ যদি তার বন্ধুদের জন্য নিজের প্রাণ দেয় তবে তার চেয়ে বেশী ভালবাসা আর কারও নেই,’’১০ য্টো যীশু আমাদের জন্য করেছেন। আর তাই,‘‘ ঈশ্বর নিজের পুত্রকে পর্যন্ত রেহাই দিলেন না বরং আমাদের সকলের জন্য তাঁকে মৃত্যুর হাতে তুলে দিলেন। তাহলে তিনি কি পুত্রের সংগে আর সব কিছুও আমাদের দান করবেন না?’’১১
মানুষ অবশ্যই অসুস্থ হয়, এমনকি মারাও যায়; অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো সত্যিই হয়ে থাকে, এবং সব ধরণের জটিলতাপূর্ণ পরিস্থিতিগুলোও আসতে পারে। তারপর কী হয়?
ঈশ্বর আমাদের বলেন যে আমাদের সকল চিন্তা তাঁর কাছে সমর্পিত করার জন্য। এমনকি এমন পরিস্থিতি বিরাজমান হলেও,‘‘ তোমাদের সব চিন্তা-ভাবনার ভার তাঁর উপর ফেলে দাও, কারণ তিনি তোমাদের বিষয়ে চিন্তা করেন।’’১২ পরিস্থিতি হয়ত নিয়ন্ত্রের বাইরে যেতে পারে, কিন্তু সেগুলো আসলে যায় না। যখন সারা পৃথিবীটাই ছিন্ন ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তখন ঈশ্বরই আমাদেরকে একসাথে রাখেন। এটাই সেই সময় যখন একজন ব্যক্তি যে ঈশ্বরকে জানেন সেই বিষয়ে কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ‘‘তোমাদের নরম স্বভাব যেন সকলে দেখতে পায়। প্রভু শীঘ্রই আসছেন।কোন বিষয় নিয়ে উতলা হোয়ো না, বরং তোমাদের সমস্ত চাওয়ার বিষয় ধন্যবাদের সংগে প্রার্থনার দ্বারা ঈশ্বরকে জানাও।তার ফলে, ঈশ্বরের দেওয়া যে শান্তির কথা মানুষ চিন্তা করেও বুঝতে পারে না, খ্রীষ্ট যীশুর মধ্য দিয়ে সেই শান্তি তোমাদের অন্তর ও মনকে রক্ষা করবে।’’১৩ ঈশ্বর হয়ত সমাধান দিতে পারেন, এমন কোন উপায়ে তিনি সমাধান করবেন যেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। সম্ভবত যেকোন খ্রীষ্টিয়ানই তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া এমন অনেক পরিস্থিতিতে পড়ার বিষয়গুলো তালিকাভুক্ত করতে পারবেন। কিন্তু যদি পরিস্থিতির কোন উন্নতি না ঘটে, তাহলে ঈশ্বর সেই অবস্থানে থাকাকালীন সময়েই আমাদেরকে শান্তি দেন। যীশু বলেছেন,‘‘ আমি তোমাদের জন্য শান্তি রেখে যাচ্ছি, আমারই শান্তি আমি তোমাদের দিচ্ছি; জগৎ যেভাবে দেয় আমি সেইভাবে দিই না। তোমাদের মন যেন অস্থির না হয় এবং মনে ভয়ও না থাকে।’’১৪
এই ক্ষেত্রে (যখন পরিস্থিতি তবুও কঠিন থাকে) যে ঈশ্বর চান যেন আমরা তাঁর উপর বিশ্বাস রাখি- যাতে আমরা ‘‘যা দেখি তাতে নয়, কিন্তু বিশ্বাসে চলি’’ বাইবেল সেটাই আমাদেরকে বলে। কিন্তু এটা অন্ধবিশ্বাস নয়। এটা ঈশ্বরের মূল চরিত্রের ওপর ভিত্তিমূলক। গাড়ি ভ্রমণের জন্য একটি স্বর্ণের দরজাসম্পন্ন কোন সেতু সম্পূর্ণভাবে সেই সেতুর ধারণক্ষমতার উপর নির্ভর করে। এখানে সেই চালক কেমন অনুভব করেন, বা কি চিন্তা করছেন, অথবা সিটে বসা কোন যাত্রীর সাথে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। যেটা গাড়িটিকে নিরাপদে অন্য পাড়ে পৌঁছে দেবে সেটা হল সেই সেতুর ধারণক্ষমতা, আর চালক নিশ্চিন্তেই সেটাকে বিশ্বাস করেন।
একইভাবে, ঈশ্বর চান যেন আমরা তাঁর ধারণক্ষমতা, তাঁর চরিত্র... তাঁর মমতা, ভালবাসা, প্রজ্ঞা, ধার্মিকতার প্রতি বিশ্বাস রাখি। তিনি বলেন,‘‘ অশেষ ভালবাসা দিয়ে আমি তোমাদের ভালবেসেছি; অটল ভালবাসা দিয়ে আমি তোমাদের কাছে টেনেছি।’’১৫ ‘‘হে আমার লোকেরা, ঈশ্বরই আমাদের আশ্রয়; তোমরা সব সময় তাঁর উপরে নির্ভর কর, তাঁরই কাছে তোমাদের অন্তর ঢেলে দাও।’’১৬
ঈশ্বর তাঁর সন্তানদের(যারা তাঁকে তাদের জীবনে গ্রহণ করেছেন এবং তাঁকে অনুসরণ করার অনুসন্ধান করছে) প্রার্থনার উত্তর দিতে চান। তিনি চান যেন আমরা প্রার্থনার মাধ্যমে আমাদের সকল উদ্বেগ সঁপে দিই এবং তিনি তাঁর ইচ্ছানুসারে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন। যখন আমরা সমস্যায় পড়ি তখন তিনি আমাদেরকে সেই অবস্থায় যত্ন নেন এবং সেই পরিস্থিতিতেই আমরা তাঁর কাছ থেকে শান্তি পাই। আমাদের বিশ্বাসের মূল ভিত্তি হল ঈশ্বরের নিজের চরিত্র। আমরা যত বেশি তাঁকে জানব ততই আমরা তাঁকে বিশ্বাস করতে পারব।
ঈশ্বরের চরিত্র সম্পর্কে আরও জানতে, দয়া করে এটা দেখুন ‘‘ঈশ্বর কে?’’ অথবা এই ওয়েবসাইটের যেকোন একটি প্রবন্ধ দেখুন। আমরা যে কারণে প্রার্থনা করি সেটা হল ঈশ্বরের চরিত্র। ঈশ্বর আপনার প্রথম যে প্রার্থনার উত্তর দিচ্ছেন তা হল তাঁর সাথে সম্পর্ক তৈরী করা।
► | কিভাবে ঈশ্বরের সাথে একটা সম্পর্ক শুরু করেন |
► | আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে… |
পাদটীকাসমূহ: (১) ১ম যোহন ৫:১৪ (২) ২য় পিতর ৩:১২ (৩) যিশাইয় ৫৯:১,২ (৪) যোহন ১৫:৭ (৬) ১ম যোহন ৫:১৪,১৫ (৭) যিশাইয় ৩০:১৮ (৮) গীতসংহিতা ১৮:৩০ (৯) গীতসংহিতা ১৪৭:১১ (১০) যোহন ১৫:১৩ (১১) রোমীয় ৮:৩২ (১২) ১ম পিতর ৫:৭ (১৩) ফিলিপীয় ৪:৫-৭ (১৪) যোহন ১৪:২৭ (১৫) যিরমিয় ৩১:৩ (আর এস ভি) (১৬) গীসংহিতা ৬২:৮