প্রশ্ন: ‘‘কেন আজ স্পষ্ট কোন দৃশ্যমান ঘটনা ঘটে নি যেটি ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রমাণ দেয়- যেখানে কোন সন্দেহের সুযোগ ছাড়াই- বিশ্বের সকল মানুষের কাছে এটা প্রমাণিত হয়: ‘‘ঈশ্বর আছেন!’?’’
আমাদের উত্তর: আমাদের মধ্যে অনেকেই ঈশ্বরে বিশ্বাসের জন্য শক্তিশালী, এমনকি চাঞ্চল্যকর কিছু কারণ খোঁজে। ওহ, এখানে বিশ্বাস করার অনেক দৃঢ় কারণ এবং দার্শনিক কিছু কারণ রয়েছে(ঈশ্বরের অস্তিত্ব অংশটি দেখুন)।
কিন্তু কেন ঈশ্বর নিজেকে প্রকাশের জন্য কোন অতি সহজ উপায় অবলম্বন করেন না যাতে সকল লোকেরাই বুঝতে পারে যে ঈশ্বর আছেন? ‘‘দ্যা জিজ্যাস আই নেভার নিউ্’’ বইটিতে ফিলিপ ইয়ান্সি একটি ভাল উত্তর দিয়েছেন।
ইয়ান্সি বলেন যে ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর প্রতি বিশ্বাস করা বা না করার স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর ইয়্যান্সি বলেন, ‘‘মাত্রাতিরিক্ত স্বাধীনতায় আমার বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্থ হয়, অবিশ্বাস করার জন্য অনেক প্রলোভন আসে। মাঝে মাঝে আমি চাই যেন ঈশ্বর তাঁর স্বত্ত্বার অলৌকিক প্রকাশ ঘটিয়ে আমাকে ঢেকে রাখেন, তিনি আমার সন্দেহগুলোকে যেন দূর করে দেন। আমি রহস্যময়তা ছাড়া একজন ঈশ্বর চাই, এমন একজন স্বত্ত্বা যার দিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে আমি আমার সন্দেহ করা বন্ধুদেরকে বলতে পারি ইনিই ঈশ্বর। ‘‘কিন্তু তখন তিনি বলেন,‘‘ [দস্তয়েভস্কি] তার সংযমের ঘটনাটিতে এই বলেন যে আমি যীশুকে যতই জানতে পারি, ততই আমি মুগ্ধ হই।’’
যীশু এমন কিছু চমৎকার অলৌকিক কাজ করতে পারতেন যা দেখে লোকেরা তাঁর উপর বিশ্বাস আনতে পারত। তিনি বর্তমানের এই নিউ ইয়র্ক শহরের উঁচু উঁচু দালানকোঠা, ভূগর্ভস্থ পথ, বৈদ্যুতিক নিয়ন বিলবোর্ডগুলোকে ২০০০ বছর আগের, মধ্যপ্রাচ্যের গাধাময় সেই রাস্তাগুলোর মধ্যে তাদের সামনেই ফেলে দিতে পারতেন।
কিন্তু তিনি তা করেন নি। তিনি কেন তা করেন নি?
ঈশ্বর আমাদের মধ্যে যে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন তা তিনি সর্বদাই সমর্থন করেছেন।
ইয়্যান্সি বলেছেন,‘‘ তার অভিনয় এবং অভিভূত হওয়ার অস্বীকার করা আরও চমৎকার। মানুষের স্বাধীনতার প্রতি ঈশ্বরের কঠোর নমনীয়তা এতটাই যে তিনি আমরা তাঁর অস্তিত্ব মেনে না নিয়ে, তাঁর মুখে থুথু দিয়ে, তাঁকে ক্রুশে দেয়া সত্ত্বেও তিনি আমাদেরকে বেঁচে থাকার শক্তি দান করেছেন। আমি বিশ্বাস করি যে, ঈশ্বর এই ধরনের সংযমের জন্য জোর দিয়েছেন কারণ তাঁর সর্বশক্তিমানতার বড়াই না হলেই তাঁর ইচ্ছা পূরণ হবে। যদিও ক্ষমতা বাধ্য থাকতে বাধ্য করে, কিন্তু শুধুমাত্র ভালবাসাই ভালবাসায় সাড়াদান করে, আর এই বিষয়টিই ঈশ্বর আমাদের কাছে থেকে চান এবং এই কারণেই তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন।’’
ঈশ্বর চান যেন আমরা তাঁকে আমাদের পিতা, বন্ধু, সান্ত্বনাকারী, পরামর্শদাতা, প্রভুর মত করে-কোন বাধ্যবাধকতা ছাড়া স্বেচ্ছায় জানি।
তিনি অবশ্যই আমাদেরকে তাঁকে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ দিয়েছেন (উদাহরণস্বরূপ: অন্ধ বিশ্বাসের উপরেদেখুন)। কিন্তু তাঁকে জানার জন্য তিনি আমাদেরকে কখনই কোন বাধ্যবাধকতা দেন নি। তার পরিবর্তে, তিনি নম্রভাবে আমাদের জীবনে আসতে চান। যীশু বলেছেন,‘‘ দেখ, আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ঘা দিচ্ছি। কেউ যদি আমার গলার আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেয় তবে আমি ভিতরে তার কাছে যাব এবং তার সংগে খাওয়া-দাওয়া করব, আর সে-ও আমার সংগে খাওয়া-দাওয়া করবে। ’’ (প্রকাশিত বাক্য ৩:২০)। তিনি আমাদের অনুমতিতেই আমাদের জীবনে প্রবেশ করেন।
► | কিভাবে ঈশ্বরের সাথে একটা সম্পর্ক শুরু করেন |
► | আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে… |